বাস্কেটবলে ড্র হলে জয় বা হার নির্ধারণের নিয়মাবলী
বাস্কেটবলে যদি নিয়মিত সময়ে ড্র হয়, তাহলে সাধারণত অতিরিক্ত সময় ব্যবহার করা হয় বিজয়ীর সিদ্ধান্ত নিতে। নীচে বিস্তারিত নিয়মাবলী আছে:
অতিরিক্ত সময়ের সময়কাল ও ফ্রিকোয়েন্সি:
অতিরিক্ত সময় সাধারণত ৫ মিনিট।
যদি একবারের অতিরিক্ত সময়ে বিজয়ী নির্ধারণ করা না যায়, তাহলে বিজয়ী নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় চলতে থাকবে।
অতিরিক্ত সময়ের বলের অধিকার ও মাঠ পরিবর্তন:
সিবিএ লিগে অতিরিক্ত সময়ে বলের অধিকার নির্ধারণের জন্য জাম্প বলের প্রয়োজন হয় না, প্রথম কোয়ার্টার থেকে বলের অধিকারের ধারাবাহিকতা রাখা হয় এবং দ্বিতীয় অতিরিক্ত সময়ে এটি ঘোরানো হয়। এনবিএ লিগে অতিরিক্ত সময়ে জাম্প বলের মাধ্যমে বলের অধিকার নির্ধারণ করা হয়।
সিবিএ লিগে অতিরিক্ত সময়ে মাঠ পরিবর্তন করতে হয়, এনবিএ লিগে মাঠ পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
অতিরিক্ত সময়ে ফাউলের হিসাব:
অতিরিক্ত সময়ের ফাউলের হিসাব নিয়মিত সময়ের ফাউলের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে করা হয়। ৬-টি ফাউল হলে খেলোয়াড় অ্যাথনিক হয়ে যায়।
ফ্রি থ্রো প্রতিযোগিতা:
যদি অতিরিক্ত সময়ের শেষেও ড্র থাকে, তাহলে ফ্রি থ্রো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের দুটি ফ্রি থ্রো করার সুযোগ থাকবে এবং দলের স্কোর ফ্রি থ্রো হিটের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে।
যদি ফ্রি থ্রো প্রতিযোগিতার শেষেও দল দুটি ড্র থাকে, তাহলে এক-একজন খেলোয়াড়ের ফ্রি থ্রো প্রতিযোগিতা চালিয়ে নেওয়া হবে, বিজয়ী নির্ধারণ হওয়া পর্যন্ত।
গোল্ডেন গোল নিয়ম:
এক-একজন খেলোয়াড়ের ফ্রি থ্রো প্রতিযোগিতায় যদিও ড্র থাকে, তাহলে গোল্ডেন গোল নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, শেষ এক-একজন খেলোয়াড়ের ফ্রি থ্রো গেমে যদি ফ্রি থ্রো হিট করা হয়, তাহলে ঐ দল জয়ী হবে; যদি ফ্রি থ্রো হিট না হয়, তাহলে বিপক্ষ দল জয়ী হবে।
সংক্ষেপে, নিয়মিত সময়ে যদি বাস্কেটবল খেলা ড্র হয়, তাহলে অতিরিক্ত সময়, ফ্রি থ্রো বা গোল্ডেন গোলের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারিত হবে। নির্দিষ্ট নিয়মাবলী খেলার আয়োজক বা লিগ (যেমন সিবিএ, এনবিএ) অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তবে মূল নীতিগুলো একই রকম।
আপনি যদি বাস্কেটবল খেলতে ভালবাসেন, তাহলে আমাদের এই বাস্কেটবল ব্রোস গেম খেলে দেখতে পারেন, এটি মজাদার এবং বিনামূল্যে।